ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৬/০৭/২০২৩ ১০:৪৩ এএম

এই তো কয়েকদিন আগে জায়েদ খান জানান, তিনি আমেরিকায় জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘের সদর দফতর থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রীতি, শান্তি ও নিজ নিজ স্থানে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের ৪০ জন নাগরিকের মধ্যে সে তালিকায় ছিলেন জায়েদ খান নিজেও।

নিজের এই অর্জনকে সেরা অর্জন বলছেন জায়েদ খান। তবে পরে জানা গেছে, জাতিসংঘের অফিসিয়াল কোনো পুরস্কার পাননি তিনি। তিনি যে পুরস্কার পেয়েছেন, সেটি অর্থের বিনিময়ে অর্জন করা যায়। এ জন্য দেশের মানুষ তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে খুশি নন। এতেই খেপেছেন এই নায়ক।

দেশের মানুষের এমন প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে ফোনালাপে জায়েদ খান বলেন, “মানুষ তো অনেক কিছু বলবে। ইউনূসের অ্যাওয়ার্ডের সময়ও বলেছিল যে, কিনে নিয়ে এসেছে। ওরা যে ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে দুই দেশের রানি, রাষ্ট্রদূত, নিউজার্সির পুলিশ প্রধান, এখানকার মেয়রের নামও রয়েছে। অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে। জাতিসংঘের হলরুম ভাড়া নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সেখানে লোকদের ঢোকানো হয়েছে। ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। এরা শ্রেষ্ঠ নায়ক না। এখানে বিভিন্ন লেখক, রাষ্ট্রদূতরাও রয়েছে।”

এরপর প্রশ্ন ছুঁড়ে জায়েদ বলেন, ‘আমি কি কোথাও বলেছি যে এটা সরাসরি জাতিসংঘের পুরস্কার? এখানে বিভিন্ন ভালো কাজের জন্য সম্মান প্রদান করা হয়েছে।’

দেশের মানুষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ বলেন, ‘বাংলাদেশের একটা ছেলে পুরস্কার পেয়েছে, এটাতে দেশের মানুষের গর্ব হওয়ার কথা, খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু সেটাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এত নেগেটিভ কথাবার্তা মানুষের। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। কিন্তু কতটা ছোট জাতি, তোরা তো আরও গর্ব করবি যে, ওখানে বলা হয়েছে জায়েদ খান ফিল্ম অ্যাক্টর বাংলাদেশ। আমি তাদের ভিডিও দিলাম। ভিডিওতে দেখা গেল আমাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারপরও এ ধরনের কথাবার্তা বলার কোনো ভ্যালু আছে?’

এদিকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের নামসর্বস্ব অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো মূলত আফ্রো-আমেরিকানরা পরিচালনা করেন। মূলত অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে তারা আয় করেন। আর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন। সুত্র: ঢাকা মেইল

পাঠকের মতামত